বাংলাদেশে হামের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রায় ১৪০টি রিপোর্ট রয়েছে।

 বাংলাদেশে হামের  প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রায় ১৪০টি রিপোর্ট রয়েছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে হামের  প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন, যেখানে প্রায় ১৪০রয়েছেটি  রিপোর্ট হয়েছে। এই মামলাগুলোর বেশিরভাগই দেশের উত্তরাঞ্চলে চিহ্নিত রয়েছে, যা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

টিকাদানের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত

প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়ায়, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো টিকাদানের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করছে। গাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৫.৫ মিলিয়ন শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়ার জন্য অর্থায়ন করছে। এছাড়াও, সরকার নয় বছরের কম বয়সী আরও ১৭ মিলিয়ন শিশুকে টিকাদানের সমর্থন দিচ্ছে। 

WHO-এর হাম  নির্মূলের প্রতিশ্রুতি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশে হাম নির্মূলের প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ, WHO হাম নির্মূলের জন্য প্রোগ্রাম অফিসারের পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা টিকাদানের কভারেজ বাড়ানো এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।    

বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে হামের  পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী প্রবণতার সঙ্গে মেলে। ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ পর্যন্ত, WHO ৭,৬৩৩ সন্দেহভাজন মিজলস  রিপোর্ট করেছে, যা ২০২৪ সালে ৬৬৪,১৪৪ র তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সুপারিশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টিকাদানের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছেন। হামে, রুবেলা, এবং জন্মগত রুবেলা সিন্ড্রোম (CRS) টিকা গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা হাম এবং CRS-সহ অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে হাম বৃদ্ধি টিকাদানের গুরুত্ব পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদাররা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করছে, তবে সম্প্রদায়ের প্রতিটি সদস্যের টিকাদানের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়া অপরিহার্য।

দ্রষ্টব্য: পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসিয়াল যোগাযোগ মাধ্যমগুলি পরিদর্শন করুন।