Advertisement

0

আজ ২ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর তৃতীয় দিনের তারাবিহ নামাজ

 আজ ২ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর তৃতীয় দিনের তারাবিহ নামাজ আলোচনা

পবিত্র কোরআনের এই অংশে দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিধান আলোচনা করা হয়েছে, যা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অবশ্য পালনীয়। 
১. হজ:

সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা সুরা আলে ইমরানের ৯৭ নম্বর আয়াতে বলেন,


"মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য। আর যে অস্বীকার করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টি কুল থেকে অমুখাপেক্ষী।"
وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ

২. বহু বিবাহ:

ইসলামে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারলে একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে। তবে,, যদি ন্যায় বিচার করতে না পারার আশঙ্কা থাকে, তবে একজন স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন,,

وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا


"আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, এতিমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্যে যাদেরকে তোমাদের ভালো লাগে, তাদের বিয়ে কর দুই, তিন বা চার জন পর্যন্ত। আর যদি আশঙ্কা কর যে, তোমরা ন্যায়বিচার করতে পারবে না, তবে একজনকেই বিয়ে কর অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে। এটাই অবিচার না করার নিকটতর।"

৩. মোহর:

বিয়ের সময় স্ত্রীকে উপহার হিসেবে মোহর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ। মোহরের মালিক স্ত্রী নিজে, তার অভিভাবক বা পরিবার নয়। স্ত্রী চাইলে স্বেচ্ছায় মোহরের কিছু অংশ ছেড়ে দিতে পারে। সুরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহবলেন,

وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحۡلَۃً فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡهُ نَفۡسًا فَکُلُوۡهُ هَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا

"আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদানকর। অতঃপরর যদি তারা স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে তা থেকে কিছু ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা সানন্দে তৃপ্তিসহকারে ভোগ কর।"

৪.উত্তরাধিকার :

মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টনের বিধানও কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেকক উত্তরাধিকারীর অংশ বা হিস্যা নির্ধারণ করে দেওয়াহয়েছে। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী উত্তরাধিকার বণ্টন করা ফরজ। সুরা নিসার ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন,

لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَ الۡاَقۡرَبُوۡنَ ۪ وَ لِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَ الۡاَقۡرَبُوۡنَ مِمَّا قَلَّ مِنۡهُ اَوۡ کَثُرَ ؕ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا

"পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে যায়, তাতে পুরুষদের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে যায়, তাতে নারীদেরও অংশ আছে; তা অল্প হোক বা বেশি হোক, এ এক নির্ধারিত অংশ।"

অজু তায়াম্মুম:

অজু করতে অক্ষম হলে তায়াম্মুম করার বিধান রয়েছে। সুরা নিসার ৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন,

وَاِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡهِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا

"আর যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান থেকে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর; সুতরাং তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহকর। নিশ্চয়য় আল্লাহ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।"

 এই বিধানগুলো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দৈনন্দিন জীবনে পালন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য জরুরি।

Post a Comment

0 Comments