Advertisement

0

রমজানে যেসব দোয়া ও আমল করতে বলেছেন বিশ্বনবী রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

 রমজান মাসে বিশ্বনবী (সা.)-এর কিছু বিশেষ দোয়া ও আমল নিচে আরবি হাদিসসহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:  

রমজান মাসে বিশ্বনবী (সা.)-এর কিছু বিশেষ দোয়া ও আমল নিচে আরবি হাদিসসহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো: ১.  চারটি মূল আমল রাসূলুল্লাহ(সা.) হজরতত ইবনে আব্বাস(রা.) ওও অন্যান্য সাহাবিদের মাধ্যমে বর্ণিত আছেন যে, রমজান মাসে চারটি কাজ বেশি করে করা উচিত: ক) কালেমা শাহাদাত: বেশি বেশি "أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ" (আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) উচ্চারণ করা, যা একত্ববাদ ও তাওহিদের মর্ম উপলব্ধি করায়। খ) ইসতেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা): "أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ" (আস্তাগফিরুল্লাহ) বলে আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ মাফ করার অনুরোধ জানানো। গ) জান্নাতের জন্য দোয়া: আল্লাহর কাছে জান্নাতে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করা। ঘ) জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়া: জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পেতে, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। উল্লেখযোগ্য হাদিস:রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "এই রমজানের মাসে তোমরা ৪টি কাজ বেশি বেশি করবে, কালেমা শাহাদাত, ইসতেগফার, জান্নাতের প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া।" (সহীহহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস নং: ১৮৮৭) ২.  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ও ইবাদত ক.  রমজান আগমনের দোয়া:রমজানের আগমন উপলক্ষে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রজবব ও শাবানের মাসে বিশেষ দোয়া পড়তেন। উদাহরণস্বরূপ:  "اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ" (আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাব ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমজান)অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দিন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছান। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ২৩৪৬) খ.  ইফতারের দোয়া:ইফতার করার মুহূর্তে দোয়া করা বিশেষ ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়া পড়তেন: "اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ" (আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু) অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া জীবিকার মাধ্যমে ইফতার করছি। (সুনানেনে আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৩৫৮) গ.  রোজার নিয়ত: রোজার নিয়ত (সংকল্প) মুখে উচ্চারণ করা বাধ্যতামূলক না হলেও, মন থেকে দৃঢ়ভাবে রোজা রাখার সংকল্প গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। উদাহরণস্বরূপ: "نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ" (নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদান) অর্থ: আমি আগামীকালের রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত করলাম। ঘ.  বিশেষ রাতের দোয়া – শবে কদর: রমজানের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রাত, শবে কদরে, ন(সা.) এর এর নির্দেশনা অনুসারে বিশেষ দোয়া পড়াউচিত। যেমন:: "اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي" (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমু্ন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি)অর্থ: আল্লাহ! তুমি মহানুভ ও ক্ষমাশীল; তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো, তাই আমাকে ক্ষমা করুন। (সুনানেনে তিরমিযী, হাদিস নং: ৩৫১৩) ৩.  রমজানের অন্যান্য আমল ও ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত: রমজান মাসে কোরআনকে বেশি বেশি পড়া ও শোনার গুরুত্ব আছে, কারণ এই মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তারাবীহ নামাজ: রাতের নামাজ, যার মধ্যে কোরআনের তিলাওয়াত ও সজদার আমল রয়েছে, তা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। দান ও সদকা: এই মাসে দানের মাধ্যমে সমাজে সহায়তা ও ভালো কাজের প্রচার করা হয়, যা অতিরিক্ত সওয়াব বয়ে আনে। ই’তিকাফ: রমজানের শেষ দশদিনে মসজিদে থাকাকালীন ই’তিকাফ পালন করা, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অপরিহার্য মাধ্যম। উপসংহার:রমজান মাসে বিশ্বন (সা.) আমাদেরকে চারটি আমল কালেমা শাহাদাত, ইসতেগফার, জান্নাতের জন্য দোয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পালন করতে উপদেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইফতার ও সেহরির সময় বিশেষ দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত, তারাবীহ নামাজ, দান ও ই’তিকাফের মাধ্যমে নিজের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে, দুনিয়া ও পরকালে সাফল্য লাভের পথ সুগম করে। এই নির্দেশনাগুলো রমজানের পূর্ণ মর্যাদা ও বরকত অর্জনের অন্যতম চাবিকাঠি, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত বয়ে আনে।


১. চারটি মূল আমল

রাসূলুল্লাহ(সা.) হজরতত ইবনে আব্বাস(রা.) ওও অন্যান্য সাহাবিদের মাধ্যমে বর্ণিত আছেন যে, রমজান মাসে চারটি কাজ বেশি করে করা উচিত:

ক) কালেমা শাহাদাত:

বেশি বেশি "أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ" (আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) উচ্চারণ করা, যা একত্ববাদ ও তাওহিদের মর্ম উপলব্ধি করায়।

খ) ইসতেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা):

"أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ" (আস্তাগফিরুল্লাহ) বলে আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ মাফ করার অনুরোধ জানানো।

গ) জান্নাতের জন্য দোয়া:

আল্লাহর কাছে জান্নাতে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করা।

ঘ) জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়া:

জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পেতে, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া।

উল্লেখযোগ্য হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "এই রমজানের মাসে তোমরা ৪টি কাজ বেশি বেশি করবে, কালেমা শাহাদাত, ইসতেগফার, জান্নাতের প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া।" (সহীহহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস নং: ১৮৮৭)

২. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ও ইবাদত

ক. রমজান আগমনের দোয়া:

রমজানের আগমন উপলক্ষে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রজবব ও শাবানের মাসে বিশেষ দোয়া পড়তেন। উদাহরণস্বরূপ:

"اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ" (আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাব ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমজান)

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দিন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছান। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ২৩৪৬)

খ. ইফতারের দোয়া:

ইফতার করার মুহূর্তে দোয়া করা বিশেষ ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়া পড়তেন:

"اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ" (আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু)

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া জীবিকার মাধ্যমে ইফতার করছি। (সুনানেনে আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৩৫৮)

গ. রোজার নিয়ত:

রোজার নিয়ত (সংকল্প) মুখে উচ্চারণ করা বাধ্যতামূলক না হলেও, মন থেকে দৃঢ়ভাবে রোজা রাখার সংকল্প গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। উদাহরণস্বরূপ:

"نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ" (নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদান)

অর্থ: আমি আগামীকালের রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।

ঘ. বিশেষ রাতের দোয়া – শবে কদর:

রমজানের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রাত, শবে কদরে, ন(সা.) এর এর নির্দেশনা অনুসারে বিশেষ দোয়া পড়াউচিত। যেমন::

"اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي" (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমু্ন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি)

অর্থ: আল্লাহ! তুমি মহানুভ ও ক্ষমাশীল; তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো, তাই আমাকে ক্ষমা করুন। (সুনানেনে তিরমিযী, হাদিস নং: ৩৫১৩)

৩. রমজানের অন্যান্য আমল ও ইবাদত

কুরআন তিলাওয়াত:

রমজান মাসে কোরআনকে বেশি বেশি পড়া ও শোনার গুরুত্ব আছে, কারণ এই মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল।

তারাবীহ নামাজ:

রাতের নামাজ, যার মধ্যে কোরআনের তিলাওয়াত ও সজদার আমল রয়েছে, তা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

দান ও সদকা:

এই মাসে দানের মাধ্যমে সমাজে সহায়তা ও ভালো কাজের প্রচার করা হয়, যা অতিরিক্ত সওয়াব বয়ে আনে।

ই’তিকাফ:

রমজানের শেষ দশদিনে মসজিদে থাকাকালীন ই’তিকাফ পালন করা, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অপরিহার্য মাধ্যম।

উপসংহার:

রমজান মাসে বিশ্বন (সা.) আমাদেরকে চারটি আমল কালেমা শাহাদাত, ইসতেগফার, জান্নাতের জন্য দোয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পালন করতে উপদেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইফতার ও সেহরির সময় বিশেষ দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত, তারাবীহ নামাজ, দান ও ই’তিকাফের মাধ্যমে নিজের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে, দুনিয়া ও পরকালে সাফল্য লাভের পথ সুগম করে। এই নির্দেশনাগুলো রমজানের পূর্ণ মর্যাদা ও বরকত অর্জনের অন্যতম চাবিকাঠি, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত বয়ে আনে।

Post a Comment

0 Comments