Advertisement

0

সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ সময়ের শাসনের অবসান ঘটেছে, আর তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেনোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। যদিও তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাতি তাকে বেছে নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা: উপদেষ্টা কমিটির দক্ষতার ঘাটতি ড. ইউনুসের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্নেই, তবে তার গঠিত উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের মধ্যে অনেকে অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভুগছেন। দেশের জটিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায়, বয়সে প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে, একটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন জরুরি ছিল, যেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণ সার্বক্ষণিকভাবে অংশ নিতেন। এতে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হতো এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যেত। ভারতীয় চাপ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানি নিয়ে ব্যাপক প্রচার দেখা গেছে, যা দেশটির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে ভারতের সাম্প্রতিক পরাজয় তাদের আরও অস্থির করে তুলেছে। ভারতের উপ সেনাপ্রধানের এক বিবৃতিকে অনেকেই বাংলাদেশের জন্য হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় স্তরে ভারতের দালালদের প্রভাব রুখে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের আস্থা ও দায়িত্ব বর্তমানে দেশের প্রায় ৯২% জনগণ ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সন্তুষ্ট। এই আস্থা ধরে রাখতে হলে প্রথমেই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে হতে হবে দুর্নীতির বিচার এবং তৃতীয় ধাপে নির্বাচন আয়োজন। আওয়ামী লীগের শাসনকালীন দুর্নীতি ও অপরাধের বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি। তাই যেকোনো সংস্কার কাজের আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সামাজিক মাধ্যম ক্যাপশন: "জাতীয় নিরাপত্তা আগে, বিচার পরে, নির্বাচন শেষে। ড. ইউনুস সরকারের সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনের তিন ধাপ। 🇧🇩 #Bangladesh #DrYunus #NationalSecurity" প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ Schema আকারে) প্রশ্ন: ড. ইউনুস কি রাজনৈতিক ব্যাক্তি? উত্তর: না, তিনি একজন অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজসেবক। প্রশ্ন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত? উত্তর: তাঁর সদিচ্ছা স্পষ্ট হলেও অভিজ্ঞ উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা কাউন্সিল ছাড়া পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন। প্রশ্ন: ভারতের ভূমিকা নিয়ে কী উদ্বেগ রয়েছে? উত্তর: ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিকার্যক্রম বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে, তাই সতর্কতা প্রয়োজন। প্রশ্ন: সরকারের অগ্রাধিকার কী হওয়া উচিত? উত্তর: প্রথমত জাতীয় নিরাপত্তা, এরপর বিচার এবং শেষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

 

ড. ইউনুসের সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে। ভারতের হুমকি ও অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশের করণীয় কী?   লেখক - আলতাব মোল্লা  

 ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ২৫শে যিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ড. ইউনুসের সরকারের সামনে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার চ্যালেঞ্জ


সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ সময়ের শাসনের অবসান ঘটেছে, আর তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেনোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। যদিও তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাতি তাকে বেছে নিয়েছে।


অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা: উপদেষ্টা কমিটির দক্ষতার ঘাটতি

ড. ইউনুসের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্নেই, তবে তার গঠিত উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের মধ্যে অনেকে অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভুগছেন। দেশের জটিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায়, বয়সে প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।

বিশেষ করে, একটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন জরুরি ছিল, যেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণ সার্বক্ষণিকভাবে অংশ নিতেন। এতে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হতো এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যেত।

ভারতীয় চাপ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানি নিয়ে ব্যাপক প্রচার দেখা গেছে, যা দেশটির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে ভারতের সাম্প্রতিক পরাজয় তাদের আরও অস্থির করে তুলেছে।

ভারতের উপ সেনাপ্রধানের এক বিবৃতিকে অনেকেই বাংলাদেশের জন্য হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় স্তরে ভারতের দালালদের প্রভাব রুখে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

জনগণের আস্থা ও দায়িত্ব

বর্তমানে দেশের প্রায় ৯২% জনগণ ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সন্তুষ্ট। এই আস্থা ধরে রাখতে হলে প্রথমেই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে হতে হবে দুর্নীতির বিচার এবং তৃতীয় ধাপে নির্বাচন আয়োজন।

আওয়ামী লীগের শাসনকালীন দুর্নীতি ও অপরাধের বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি। তাই যেকোনো সংস্কার কাজের আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ Schema আকারে)

প্রশ্ন: ড. ইউনুস কি রাজনৈতিক ব্যাক্তি?

উত্তর: না, তিনি একজন অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজসেবক।

প্রশ্ন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত?

উত্তর: তাঁর সদিচ্ছা স্পষ্ট হলেও অভিজ্ঞ উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা কাউন্সিল ছাড়া পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন।

প্রশ্ন: ভারতের ভূমিকা নিয়ে কী উদ্বেগ রয়েছে?

উত্তর: ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিকার্যক্রম বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে, তাই সতর্কতা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: সরকারের অগ্রাধিকার কী হওয়া উচিত?

উত্তর: প্রথমত জাতীয় নিরাপত্তা, এরপর বিচার এবং শেষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

Post a Comment

0 Comments