মিরাজের ইতিহাস গড়া নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারাল বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেও পরাজিত দলের অংশ ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার চট্টগ্রামে পুরো দৃশ্যপট বদলে দিলেন তিনি নিজেই। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আর বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারাতে মুখ্য ভূমিকা রাখলেন এই অলরাউন্ডার।
এই জয়ের মাধ্যমে ২ ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ ড্র করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্ট হারের পর অবশেষে স্বস্তির জয় পেল বাংলাদেশ।
মিরাজের অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে করা ২২৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৪৪ রান। দ্বিতীয় দিন ৭ উইকেটে ২৯১ রানে থাকা বাংলাদেশ দলকে টানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে বিশাল লিড এনে দেন। তার সঙ্গে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন তাইজুল ইসলাম (২০), তানজিম হাসান সাকিব (৪১) ও হাসান মাহমুদ।
এরপর বল হাতে দ্যুতি ছড়ান মিরাজ। ২১ ওভারে মাত্র ৩২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করা তাইজুল নেন দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪টি। ফলে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে।
রেকর্ডের ছড়াছড়ি মিরাজের
- ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি
- একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট – বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার
- ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট – বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার
- এক সিরিজে ১০ উইকেট ও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি – টেস্ট ইতিহাসে সপ্তম খেলোয়াড়
- তৃতীয়বার টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ
মিরাজের প্রতিক্রিয়া
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, “প্রথম ম্যাচে হেরেছিলাম বলে এই ম্যাচ জিততেই হতো। সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। দল হিসেবে খেলেছি আমরা। তাইজুল, তানজিম ও হাসান আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। দলীয় ঐক্য থাকলে অনেক কিছু সম্ভব।”
দলনায়কের কণ্ঠে হতাশা
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “এই জয়েও প্রথম ম্যাচের হার ভুলতে পারছি না। সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২২৭ ও ১১১ (বেন কারেন ৪৬, মিরাজ ৫/৩২)
বাংলাদেশ: ৪৪৪ (সাদমান ১২০, মিরাজ ১০৪)
ফলাফল: বাংলাদেশ জয়ী ইনিংস ও ১০৬ রানে
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ: মেহেদী হাসান মিরাজ (১১৬ রান ও ১৫ উইকেট)
সিরিজ ফল: ১-১ ড্র
FAQ: মেহেদী হাসান মিরাজ ও চট্টগ্রাম টেস্ট
![]() |
টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারাল বাংলাদেশ |
0 Comments