বাংলাদেশেরাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটলো বড় এক পরিবর্তন। অন্তর্বর্তী সরকারের এক জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে "জুলাই ঘোষণাপত্র" চূড়ান্ত করার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা।
![]() |
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত |
শনিবার রাত ৮টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকারের এই বিশেষ বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে রাত ১১টায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন,
"জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত ও প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।"
তিনি আরও জানান,
"আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ পদক্ষেপ কার্যকর হবে এবং পরবর্তী কর্মদিবসে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে।"
শাহবাগে গণজমায়েত ও দাবির পটভূমি
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত শুরু করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান,
"গতকাল রাত ১০টা থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।"
তিনি তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেন:
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলগত বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত জারি করতে হবে।
FAQ: জনগণের সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন: কী কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হলো?
উত্তর: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অবস্থায় দলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: জুলাই ঘোষণাপত্র কী?
উত্তর: এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি নীতিগত ঘোষণা, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিকাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশ্ন: এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী কিনা?
উত্তর: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রশ্ন: জনগণের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
উত্তর: শাহবাগে কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন ইতোমধ্যেই দীর্ঘ অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
0 Comments