১৪০/৯০ এর বেশি রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। সময়মতো সতর্ক না হলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ এর লক্ষণগুলো অনেক সময় স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না, অথচ এটি ধীরে ধীরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে নিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন হৃদরোগ, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
![]() |
কোন রক্তচাপে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি |
উচ্চ রক্তচাপ: কী এবং কেন ভয়াবহ?
রক্তচাপ হল সেই চাপ যা রক্ত প্রবাহের সময় ধমনির দেয়ালে পড়ে। যখন এই চাপ মাত্রার বাইরে চলে যায়, তখন হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয় এবং শিরার দেয়ালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক রক্তচাপ থাকলে তা ধমনি ফেটে যাওয়ার মতো মারাত্মক পরিণতিও আনতে পারে।
কত রক্তচাপ স্বাভাবিক, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
স্বাভাবিক রক্তচাপ: ১২০/৮০ mmHg
উচ্চ রক্তচাপ (প্রথম স্তর): ১৩০-১৩৯ সিস্টোলিক / ৮০-৮৯ ডায়াস্টোলিক mmHg
উচ্চ রক্তচাপ (ঝুঁকিপূর্ণ স্তর): ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg ছাড়িয়ে যায়, তখন তা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
লক্ষণগুলো কী কী?
উচ্চ রক্তচাপ্রায়ই নিরবেই শরীরে কাজ করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দিতে পারে,
যেমন:
তীব্র মাথাব্যথা
চোখে রক্ত জমে যাওয়া বা ঝাপসা দেখা
মাথা ঘোরা
বুক ধড়ফড় করা বা ব্যথা
নাক থেকে রক্ত পড়া
বমি বমি ভাব
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
নিয়মিত চেকআপ ও সচেতনতা
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব যদি আপনি নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করেন।
যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাক যেনা ঘটে, সে জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
📌 FAQs (Frequently Asked Questions)
প্রশ্ন: উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে?
উত্তর: যখন রক্তচাপ ১৩০/৮০ MMH বেশি হয়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
প্রশ্ন: কোন রক্তচাপে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে?
উত্তর: ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রশ্ন: উচ্চ রক্তচাপের কোনো লক্ষণ আছে?
উত্তর: অধিকাংশ সময় লক্ষণ থাকে না, তবে মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
প্রশ্ন: কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?
উত্তর: সুষম খাদ্য, ব্যায়াম, স্ট্রেস কমানো, এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
0 Comments