আজকের বাংলা তারিখ. ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ; আজকের আরবি/হিজরী তারিখ. ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি.
বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানগাছ বছরে পাঁচবার ফলন দেবে। বৈপ্লবিক এই আবিষ্কার বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে।
বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর ‘পঞ্চব্রীহি’: ধান চাষে বৈপ্লবিক আবিষ্কার
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এবং জিনবিজ্ঞান বিষয়ে খ্যাতিমান গবেষক আবেদ চৌধুরী উদ্ভাবন করেছেন এমন একটি ধানগাছ, যা একবারোপণেই পাঁচবার ধান ফলাতে সক্ষম। এই বিশেষ জাতের ধানের নাম তিনি দিয়েছেন—‘পঞ্চব্রীহি’, যার অর্থই হলো পাঁচবার ধান উৎপাদন।
![]() |
বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর ‘পঞ্চব্রীহি’ চমক |
‘পঞ্চব্রীহি’—নতুন ধানের নতুন বিপ্লব
‘পঞ্চব্রীহি’ নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর বৈশিষ্ট্য।
পঞ্চ মানে পাঁচ , ব্রীহি মানে ধান
এই ধানগাছ তিনটি মৌসুমে—বোরো, আউশ ও আমন—জমিতে রেখে, পর্যায়ক্রমে বোরো একবার, আউশ দুইবার, এবং আমন দুইবার মিলিয়ে পাঁচবার ধান ফলাবে।
এটি দেশের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, যেখানে জমি একই থাকলেও ধান পাওয়া যাবে একাধিকবার, বাড়বে উৎপাদন ও কৃষকের আয়।
১৪ বছরের সাধনার ফল, ভবিষ্যতের কৃষিবিপ্লব
আবেদ চৌধুরীর দীর্ঘ ১৪ বছরের নিরলস গবেষণার ফল এই ‘পঞ্চব্রীহি’। এর আগে তিনি দেশীয় বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া ধানের জাত পুনরুদ্ধার এবং নতুন জাত উদ্ভাবন করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
তিনি জানান—
“এই জাত থেকে শুধু পাঁচ বার নয়, বরং ভবিষ্যতে ১৫ বা ২০ বার ধান পাওয়া সম্ভব হবে। এটা কেবল শুরু, যার বীজ আমি বপন করে দিয়ে যাচ্ছি।”
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন আশার আলো
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, চাষযোগ্য জমির সংকোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, সেখানে আবেদ চৌধুরীর এই উদ্ভাবন হতে পারে এক যুগান্তকারী সমাধান।
কম খরচে, একবার রোপণে বহুবার ফলন মানেই—
✅ কম শ্রম
✅ কম সেচ
✅ কম সার
✅ অধিক ফসল
✅ কৃষকের আয় বৃদ্ধি
📸 বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা
আবেদ চৌধুরীর মতো মাটির বিজ্ঞানীরাই আমাদের আশার আলো। তিনি শুধু বিজ্ঞানী নন, কৃষকের হৃদয়ের একজন নায়ক। তাঁর এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী কৃষির চেহারা বদলে দিতে পারে।
❓প্রশ্নোত্তর (FAQs)
১. ‘পঞ্চব্রীহি’ কী ধরণের ধান?
‘পঞ্চব্রীহি’ হলো একটি নতুন উদ্ভাবিত ধানের জাত, যা একবারোপণে পাঁচবার ধান দিতে সক্ষম।
২. এই ধানগাছ কীভাবে পাঁচবার ফলন দেয়?
এই ধানগাছ তিনটি মৌসুম—বোরো, আউশ ও আমন—জুড়ে পাঁচবার ফলন দিতে সক্ষম। রোপণের পর পুনরায় চারার প্রয়োজন হয় না।
৩. কে এই ধানের উদ্ভাবক?
অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী ‘পঞ্চব্রীহি’ উদ্ভাবন করেছেন।
৪. এই ধান থেকে ভবিষ্যতে কতবার ফলন সম্ভব?
বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর মতে, ভবিষ্যতে এই জাত থেকে ১৫–২০ বার ধান ফলানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
৫. এই আবিষ্কার বাংলাদেশের কৃষিতে কী প্রভাব ফেলবে?
এটি কৃষকের উৎপাদন ও আয় বাড়াবে, জমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
এই ধানের জাত শুধু একটি বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, বরং তা হতে পারে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের অন্যতম দিকনির্দেশনা।
আবেদ চৌধুরীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা—উনি প্রমাণ করেছেন, প্রতিভা কখনও মাটি হারায় না।
0 Comments