বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ২৯শে জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬ হিজরি, বর্ষা-কাল.
২৫ বছর পূর্তিতে টেস্টের মর্যাদা ও ঘরোয়া ক্রিকেট জাগাতে নতুন পরিকল্পনায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম।
![]() |
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ঘুমিয়ে থাকা ক্রিকেট জাগাতে চাই |
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্বে এখনো এক মাস পার হয়নি। তবুও দেশের ক্রিকেটে প্রাণ ফেরানোর এক অদম্য চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছেন সাবেক্রিকেটার ও প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। দেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মাঝে নতুন সেতুবন্ধ গড়ার প্রচেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর: ইতিহাসে নতুন পৃষ্ঠা
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। এই সফরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অবহেলিত ক্রিকেট চর্চার বাস্তবতা উপলব্ধি করেন আমিনুল।
“টেস্ট ক্রিকেট খেলার কারণেই আমরা আইসিসির পূর্ণ সদস্য। এটা আমাদের বড় পরিচয়। সেই পরিচয়কে সম্মান জানাতেই এই আয়োজন,” — বললেন আমিনুল।
ঘরোয়া ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন পরিকল্পনা
প্রথম মাসেই বোর্ড সভাপতির ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন আমিনুল ইসলাম মনে করেন, কার্যকর পরিকল্পনার পূর্বশর্ত হলো ভালোভাবে জানা ও বোঝা।
“কোনো কিছু পরিবর্তনের আগে বুঝতে হবে কীভাবে, কেন এবং কোথায় ভুল হয়েছিল। আমরা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছি,” — উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো ও প্রতিযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন সভাপতি।
মিরপুর কেন্দ্রিকতা নয়, দেশব্যাপী বিস্তৃতি
পূর্ববর্তী বোর্ডগুলো অনেক সময় ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আমিনুল ইসলাম জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সেই চক্র থেকে বেরিয়ে এসে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ক্রিকেট উন্নয়নে মনোযোগী হবেন।
“আমি এখানে থেকে যাওয়ার জন্য আসিনি, তবে এমন কিছু রেখে যেতে চাই, যা ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে।”
তিন সংস্করণেই ধারাবাহিকতা আনতে চায় বিসিবি
বাংলাদেশ দল বর্তমানে তিন সংস্করণেই ধারাবাহিক নয়। এ বিষয়ে আমিনুলের মন্তব্য, টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ বাড়ানো গেলে অন্য দুই সংস্করণেও উন্নতি সম্ভব।
“বড় ফরম্যাটেই যদি মনোযোগ দিই, তা হলে অন্যান্য ফরম্যাটেও ফল আসবে।”
পরিসংখ্যানই বাংলাদেশের অবস্থান বলে দেয়
২৫ বছরে কতদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ—এমন প্রশ্নে আমিনুল ইসলাম বলেন, “এখন তো পরিসংখ্যানের যুগ। চোখ রাখলেই বোঝা যাবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে।”
FAQ (প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন: বিসিবি সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলামের প্রধান লক্ষ্য কী?
উত্তর: দেশের ঘুমিয়ে থাকা ক্রিকেট অঞ্চলগুলোকে জাগিয়ে তোলা এবং টেস্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় দলকে তিন সংস্করণেই ধারাবাহিক করা।
প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তিতে কী কী আয়োজন করছে বিসিবি?
উত্তর: বিভাগীয় শহরগুলোতে অনুষ্ঠান, ক্রিকেট চর্চা কেন্দ্র পুনর্জাগরণ এবং জাতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতির পুনর্গঠন।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
উত্তর: ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো বিশ্লেষণ ও নতুনীতিমালার মাধ্যমে কার্যকর পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: নতুন সভাপতির নেতৃত্বে বিসিবির ভিশন কী হবে?
উত্তর: দেশব্যাপী ক্রিকেট উন্নয়ন, তরুণ প্রতিভা খুঁজে আনা এবং দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি গড়ে তোলা।
0 Comments