🔥 বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়, পাঠকের জন্য গভীর বিশ্লেষণ
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যতিক্রমী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী। এবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এতদিন দেশেই অবস্থান করলেও, অবশেষে তিনিও গোপনে দেশ ত্যাগ করেছেন।
![]() |
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গোপনে দেশ ছাড়লেন |
✈️ রাতের আঁধারে থাইল্যান্ডে পাড়ি
৯ মাস ধরে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মামলার মুখে থাকা আবদুল হামিদ অবশেষে দেশ ছাড়লেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তিনি পুত্র রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ড. এ এম নওশাদের সঙ্গে বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তিনি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পান।
⚖️ হত্যা মামলার আসামি হয়েও কীভাবে পেলেন ছাড়পত্র?
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হামিদের নামে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর থানায় গত ১৪ জানুয়ারি এই মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB)–এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স আইনত থামানো যায় না।"
🇧🇩 দেশ ছাড়ছেন একের পর এক প্রভাবশালী
আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই দেশ ছাড়ার ঢল নেমেছে দলটির শীর্ষ পর্যায়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সাবেক রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপ নতুন করে প্রশ্ন তুলছে—এই দেশত্যাগ রাজনৈতিক আশ্রয়ের চেষ্টা, না কি মামলার চাপ থেকে মুক্তি?
❓FAQ: পাঠকের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কোথায় গেছেন?
উত্তর: তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।
প্রশ্ন ২: তার বিরুদ্ধে কী মামলা রয়েছে?
উত্তর: কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তার নাম রয়েছে। মামলাটি ১৪ জানুয়ারি দায়ের হয়।
প্রশ্ন ৩: মামলার পরও তিনি কীভাবে দেশ ছাড়লেন?
উত্তর: পুলিশের মতে, তার বিরুদ্ধে আদালতের কোনো সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৪: আরও কোন আওয়ামী লীগ নেতা দেশ ছেড়েছেন?
উত্তর: বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পতনের পর অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা আত্মগোপনে আছেন বা বিদেশে চলে গেছেন।
0 Comments