Advertisement

0

গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শান্ত-মুশফিকের জয়ে ফেরার মহাকাব্য

 


গলে টপ অর্ডারের বিপর্যয়ের পর শান্ত ও মুশফিকের ২৪৭ রানের জুটিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের দারুণ প্রত্যাবর্তন।

গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শান্ত-মুশফিকের জয়ে ফেরার মহাকাব্য
গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শান্ত-মুশফিকের জয়ে ফেরার মহাকাব্য

গলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর শান্ত-মুশফিকের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই বিপাকে বাংলাদেশ্রীলঙ্কার গলে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ চক্রের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪৫ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ম্যাচের প্রথম ঘণ্টায় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে সফরকারীরা।

কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে গড়েন ২৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, যা প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

শান্তর সেঞ্চুরির প্রত্যাবর্তন, মুশফিকের চতুর্থ সেঞ্চুরি লংকানদের বিপক্ষে

২২ ইনিংস পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শান্ত। ২০২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নেন। দিনশেষে ২৬০ বলে ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় ১৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় শতক।

অন্যদিকে, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি, যার মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই এটি চতুর্থ। ১৭৬ বলে সেঞ্চুরি করেন ৩৮ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার। দিনের শেষে তার নামের পাশে ১৮৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ১০৫ রান।

চতুর্থ উইকেটে রেকর্ডের পথে

চতুর্থ উইকেটে শান্ত ও মুশফিকের ২৪৭ রানের জুটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘতম। দেশসেরা এই জুটিটি প্রায় আড়াই সেশন উইকেট না হারিয়ে পার করেন। চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ২৬৬ রান, যা করেছিলেন মুশফিক ও মুমিনুল ২০১৮ সালে মিরপুরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বিপর্যয়ের সূচনা ও রত্নায়েকে’র স্ট্রাইক

বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং নেমেই বিপদে পড়ে। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ০ রানে ফিরেন পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে। এরপর সাদমান ইসলাম (৫৩ বলে ১৪) ও মুমিনুল হক (৩৩ বলে ২৯) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে ৮ বলের ব্যবধানে দুজনকেই ফিরিয়ে দেন।

৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বাংলাদেশের ইনিংস ধসের মুখে, তখন শান্ত-মুশফিকের দৃঢ় ব্যাটিংয়েই দৃশ্যপট পাল্টে যায়।

প্রথম দিনের শেষে স্কোরবোর্ড

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস

৯০ ওভারে ২৯২/৩

নাজমুল হোসেন শান্ত: ১৩৬* (২৬০ বল, ১৪ চার, ১ ছক্কা)

মুশফিকুর রহিম: ১০৫* (১৮৬ বল, ৫ চার)

থারিন্দু রত্নায়েকে: ২/১২৪


FAQs (প্রশ্নোত্তর):

বাংলাদেশের টপ অর্ডারে এত দ্রুত ধস কেন?

প্রথম ঘণ্টায় বল সুইং করছিল এবং লংকান বোলাররা নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থ বজায় রাখে। সেই চাপে হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার।


শান্তর সেঞ্চুরির গুরুত্ব কতটা?

২২ ইনিংস পর সেঞ্চুরি করা শান্ত দলের বিপর্যয়ে নেতৃত্ব দিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছেন। এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম দায়িত্বশীল ইনিংস।


মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং কেমন ছিল?

প্রশংসনীয়। অভিজ্ঞতায় ভর করে ধৈর্য ও টেম্পারামেন্ট দেখিয়ে নিজের ১৩তম সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে গেছেন। লংকানদের বিপক্ষে এটি তার চতুর্থ শতক।


এই জুটি বাংলাদেশেরেকর্ড কি ছাড়িয়ে যেতে পারে?

হ্যাঁ, চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ২৬৬ রানেরেকর্ড অতিক্রমের দারুণ সুযোগ রয়েছে শান্ত ও মুশফিকের সামনে।


দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী হতে পারে?

সেঞ্চুরিয়ান দুজনের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ আরও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে চাইবে এবং শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটে নামার আগে চাপে ফেলতে চাইবে।

Post a Comment

0 Comments